
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান টুটুলের বিরুদ্ধে ৩০ লক্ষ টাকার মাছ লুটের মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার দুপুরে উপজেলা পাবলিক লাইব্রেরীতে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন সংগুই নামক পুকুরটির ৮১ জন সুফলভোগী সদস্য। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সুফলভোগী সদস্যদের পক্ষে কার্তিক চন্দ্র বসাক।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, পূর্ববর্তি সরকারের সময় সিরাজগঞ্জ শহরের আব্দুস সালাম নামের আওয়ামী পন্থি এক ব্যক্তি পুকুরটি সাব-লীজ নিয়ে মাছ চাষ করতেন। সে লীজের মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে আমরা সুফলভোগীরা সকল নিয়মনীতি মেনে পুকুরটি লীজ গ্রহন করি। আব্দুস সালামও তাঁর মাছ ধরে নিয়ে পুকুরটি মুক্ত করে দেন। এখন তিনিই আবার ভূঁয়া চুক্তিপত্র তৈরী করে ২০২৭ সাল পর্যন্ত পুকুরটি দাবী করে আসছেন। শুধু তাই-ই নয় পুকুরের সাথে কোন সম্পৃক্ততা না থাকলেও বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান টুটুলের বিরুদ্ধে ৩০ লক্ষ টাকার মাছ লুটের মিথ্যা অভিযোগ বিভিন্ন দপ্তরে দায়ের করেছেন। তাড়াশ থানায় আব্দুস সালামের দায়ের করা অভিযোগে আমিনুর রহমান টুটুলের কোন নাম নাই। আবার সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ পত্রে আব্দুস সালামের কোন স্বাক্ষর নেই। তাই আমরা মনে করি উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের সংগুই নামক পুকুরটির সাথে আমিনুর রহমান টুটুলের কোন সম্পৃক্ততা নয়।
এ ব্যাপারে অভিযোগকারী আব্দুস সালামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমিনুর রহমান টুটুল নামের কাউকে আমি চিনি না। তাই তাড়াশ থানায় দাখিলকৃত অভিযোগে তাঁর নামও উল্লেখ করিনি।
তাড়াশে উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান টুটুল বলেন, উক্ত পুকুরটি নিয়মানুয়ী সুফলভোগীরা পেয়েছেন। আমি ওই পুকুরের সাথে কোন ভাবেই জড়িত নই। রাজনৈতিক ভাবে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য মিথ্যা অভিযোগে সংবাদ প্রচার করা হয়েছে।