নিজস্ব প্রতিবেদক, নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় দেহব্যবসায়ী চক্রের দ্বারা এক নারী সাংবাদিককে হত্যার উদ্দেশ্যে সম্মিলিতভাবে মারধরের গুরুতর ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি সাংবাদিক মহলে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই দেহব্যবসার আখড়ায় তদন্ত করতে গিয়েছিলেন ওই নারী সাংবাদিক। অভিযোগ রয়েছে, এর আগেও কয়েকবার তিনি সেখানে যেতে চাইলেও পুলিশের এক এসআই দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হয়ে ফিরে আসেন।
সর্বশেষ, একই অভিযোগ পেয়ে তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার উদ্দেশ্যে তিনি আরও দুজন সহকর্মী সাংবাদিককে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। এসময় পাশের প্রেসক্লাবের কিছু সাংবাদিক এতে বাধা দেন। শুধু তাই নয়, একজন পুলিশের এসআই দেহব্যবসার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের মোবাইল ফোনে কল করে ওই নারী সাংবাদিককে গালিগালাজ ও হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
আইনের আওতায় আনার কথা বলায় দেহব্যবসার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা ওই নারী সাংবাদিককে টেনেহিঁচড়ে লাঠি সোঠা দিয়ে মাথায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করে। এসময় তার সঙ্গে থাকা দুই সহকর্মী সাংবাদিককে অন্য একটি ঘরে আটকে রাখা হয়।
আটকে থাকা সাংবাদিকদের মাধ্যমে খবর পেয়ে অন্য সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। বর্তমানে আহত নারী সাংবাদিক শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত রয়েছেন। তিনি এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন।
এদিকে, বাংলাদেশ সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ ফোরামের সভাপতি কে এম আবুল হোসেন তার সংগঠনের পক্ষ থেকে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। একইসঙ্গে তিনি বাংলাদেশে সাংবাদিক নির্যাতন বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে সরকারের কাছে দ্রুত 'সাংবাদিক সুরক্ষা আইন' বাস্তবায়নের জোর দাবি জানিয়েছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এসব কর্মকাণ্ডে জড়িতদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিয়ে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার এবং তাদের কাজকে আরও বেগবান করার আহ্বানও জানান তিনি।