ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার কারীরহাট এলাকায় অবস্থিত ৩৩ নং ডিক্রির চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সদ্য অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ হাবিবুর রহমান-এর বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের সরকারি মালামাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অবসর গ্রহণের পর বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ ও অবকাঠামো থেকে বেশ কিছু সরকারি সম্পদ নিখোঁজ পাওয়া গেছে। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়দের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
অভিযোগের ভিত্তিতে রূপসী বাংলা টিভি-এর প্রতিনিধি দল সরেজমিনে বিদ্যালয়ে গিয়ে অনুসন্ধান পরিচালনা করে। অনুসন্ধানে দেখা যায়— বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে থাকা একটি সিলিং ফ্যান, একটি বাদ্যযন্ত্র (ঢোল), একটি জাতীয় পতাকা দণ্ড, বাথরুমের একটি কমোড প্যান, এবং প্রায় ৩০ পিস বেঞ্চের লোহার ফ্রেম বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত।
স্থানীয়দের অভিযোগ, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান দায়িত্ব ছাড়ার সময় বিদ্যালয়ের বহু মালামাল সরিয়ে নিয়েছেন।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর তিনি আত্মসাৎকৃত কিছু মালামাল যেমন একটি আলমারি, একটি ক্যাবিনেট ও একটি এস এস মই ফেরত দিয়েছেন। তবে অন্যান্য মালামাল এখনো বিদ্যালয়ে ফেরত পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ হাবিবুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,
“আমি কোনো সরকারি মালামাল নিইনি। বিদ্যালয়ের কিছু জিনিস আগে থেকেই নষ্ট ছিল। আমি যেভাবে পেয়েছি, সেভাবেই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে বুঝিয়ে দিয়েছি। স্থানীয় রাজনৈতিক কারণে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।”
স্থানীয় সচেতন মহল মনে করছে, সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মালামাল আত্মসাৎ শুধু অনৈতিকই নয়, এটি সরকারি সম্পদের অপচয় ও শিক্ষাব্যবস্থার প্রতি আস্থাহানিকর। দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান না হলে এ ধরনের ঘটনা অন্যান্য বিদ্যালয়ের উপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আঃ রাজ্জাক মোল্যা বলেন,
“সদ্য বিদায়ী প্রধান শিক্ষক মোঃ হাবিবুর রহমান স্যার আমাকে যেভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন, আমি সেভাবেই বুঝে নিয়েছি। অতীতের কোনো তথ্য আমার জানা নেই।”
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান বলেন,
“বিদ্যালয় থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”