আসাদ মন্ডলবিশেষ সংবাদদাতা ঝিনাইদহঃঅনলাইন সংবাদমাধ্যম 'ঢাকা স্ট্রিম'-এর গ্রাফিক ডিজাইনার স্বর্ণময়ী বিশ্বাসের আত্মহত্যাকে কেন্দ্র করে কর্মস্থলে যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে ব্যাপক আলোচনা ও প্রতিবাদের সৃষ্টি হয়েছে। ২৮ বছর বয়সী স্বর্ণময়ীর ঝুলন্ত মরদেহ ১৯ অক্টোবর, ২০২৫-এ তার ধানমন্ডির বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়।
মূল অভিযোগ যৌন হয়রানির অভিযোগ: স্বর্ণময়ী তার মৃত্যুর কয়েক মাস আগে প্রতিষ্ঠানের বাংলা কন্টেন্ট এডিটর আলতাফ শাহনেওয়াজের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি এবং অশোভন আচরণের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। কর্মকর্তার অবহেলা: স্বর্ণময়ীসহ ২৬ জন সহকর্মী এই অভিযোগ দাখিল করলেও, এর বিরুদ্ধে কোনো উল্লেখযোগ্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। চুক্তি নবায়ন না করা: অভিযোগ দায়ের করা কর্মীদের মধ্যে থেকে তিনজনের চুক্তি নবায়ন না করার সিদ্ধান্তয জানানো হয়।ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া: সহকর্মী ও অনেকে মনে করেন, এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না পেয়ে মানসিক হতাশা ও ক্ষোভের কারণে স্বর্ণময়ী আত্মহত্যা করেছেন। প্রতিবাদ ও তদন্তের দাবি: স্বর্ণময়ীর মৃত্যুর পর ২৪৩ জন বিশিষ্ট নাগরিকসহ বিভিন্ন অধিকার কমিটি ও নারী সংগঠন এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত, দোষীদের বিচার এবং কর্মক্ষেত্রে যৌন নিপীড়নবিরোধী নীতিমালা বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন। ঢাকা স্ট্রিমের বিবৃতি: অনলাইন পোর্টালটি ঘটনার তিন মাস পর এক বিবৃতিতে জানায়, স্বর্ণময়ীর মৃত্যুর সাথে শাহনেওয়াজের বিরুদ্ধে করা অভিযোগের কোনো সম্পর্ক নেই।পুলিশি তদন্ত: পুলিশ স্বর্ণময়ীর মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখতে তদন্ত করছে।
এই ঘটনাটি বাংলাদেশের কর্মক্ষেত্রে নারীদের নিরাপত্তা এবং যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধের বিষয়ে ব্যাপক উদ্বেগ তৈরি করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় ঝিনাইদহ শহরের পোস্ট অফিস মোড়ে, ঝিনাইদহের বিক্ষুব্ধ সামাজিক ও কর্মিরা ২৩/১০/২০২৫ সকাল ১০ টায় এই মানববন্ধন করেন।