লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলায় পতিতালয়ে হামলার ঘটনায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ৩০-৩৫ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জানা গেছে, কমলনগর উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে সাবেক মহিলা মেম্বার জাহানারা বেগম ওরফে জাইন্নার বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে দেহ ব্যবসা চলে আসছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, একসময় জাহানারা নিজেই দেহ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বর্তমানে তার বয়স ৫৫ বছর হওয়ায় তিনি তার বড় ছেলে, মিয়ারবেড়ি এলাকার যুবলীগ কর্মী মো. সোহেল এর সহযোগিতায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অল্পবয়সী নারী এনে নিজ বাড়িতে পতিতালয় পরিচালনা করছেন।
এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে এ কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিলেন। তবে অভিযোগ রয়েছে, জাহানারা বিভিন্ন প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের সহায়তায় স্থানীয়দের ভয়ভীতি দেখিয়ে ও মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করতেন।
গত ১৯ অক্টোবর (শনিবার) রাতে স্থানীয়রা বাইরে থেকে আসা কয়েকজন নারী-পুরুষকে জাহানারার বাড়িতে আটক করে পুলিশে খবর দেন। তবে পুলিশের পৌঁছানোর আগেই জাহানারা পালিয়ে যান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আটক ব্যক্তিদের থানায় নিয়ে যায়।
ঘটনার কিছু সময় পর অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা জাহানারার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় ও ভাঙচুর চালায়।
এলাকাবাসীর দাবি, নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ ও স্থানীয়দের ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে জাহানারা নিজেই তার অনুসারীদের দিয়ে এই অগ্নিসংযোগ ঘটান এবং পরবর্তীতে স্থানীয় নিরীহ মানুষদের বিরুদ্ধে আদালতে মিথ্যা মামলা করেন।
স্থানীয়রা প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন, জাহানারার দেহ ব্যবসা চিরতরে বন্ধ করে নিরীহ এলাকাবাসীকে মিথ্যা মামলার হয়রানি থেকে রক্ষা করতে এবং সমাজকে তার অপকর্ম থেকে মুক্ত রাখতে প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।