শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:১০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
গৌরনদীতে রিপারিং রাস্তার মাটি কাটা কেন্দ্র করে হামলা, মডেল থানায় এজাহার দায়ের। **নেছারাবাদে বিএনপির দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় সুটিয়াকাঠিতে নেতাকর্মীদের ঢল** গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৪ শিক্ষার্থী পবিত্র কোরআনের আলোকে পরিত্যাক্ত পাথর থেকে সোনা রুপাসহ মুল্যবান ধাতু আহরনে গাজন পদ্ধতির উদ্ভাবন আহছান উল্লাহর থানচিতে নতুন বাস টার্মিনাল চালু যাত্রীসেবার নতুন সম্ভাবনা। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা প্রশাসনের অভিযানে মাদক সেবনে অভিযুক্ত ২ জনের কারাদণ্ড, ১ জনের বিরুদ্ধে মামলা নেছারাবাদে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল তাড়াশে প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগের উদ্বোধন নোয়াখালী-৪ আসনে ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী আব্দুর জাহেরের উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত সন্দ্বীপের নানান সমস্যা নিয়ে উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খানের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

নেছারাবাদে গৃহপরিচারিকাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ : দুই মাসের ভ্রূণ নষ্ট

প্রতিবেদকের নাম / ৩৭ বার দেখা হয়েছে
আপডেট : মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৫

পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার ২ নং সোহাগদল ইউনিয়নের বরছাকাঠি গ্রামে গৃহপরিচারিকা এক নারীর ওপর সংঘটিত ভয়াবহ ধর্ষণ এবং জোরপূর্বক গর্ভপাত করানোর অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী মোসাঃ জেসমিন আক্তার (৪০) মঙ্গলবার গণমাধ্যমের কাছে এমন অভিযোগ তুলে ধরেন।

জানা যায়, গরিব ও অসহায় তিন সন্তানের জননী জেসমিন তার ছোট্ট ভাঙাচোরা ঘরে মেয়েকে নিয়ে বসবাস করেন। স্বামী অন্যত্র আরেকটি বিয়ে করে আলাদা সংসার করায় তিনি মানুষের বাসায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। প্রায় ৫–৬ মাস ধরে তিনি একই এলাকার আব্দুল লতিফের (বীর মুক্তিযোদ্ধা) ছেলে মোঃ রাসেলের বাড়িতে গৃহপরিচারিকা হিসেবে কাজ করছিলেন।

ভুক্তভোগী জানান, কাজ শুরুর পর থেকেই রাসেল তাকে বিভিন্ন প্রলোভন, ভয়ভীতি ও চাপ সৃষ্টি করে শারীরিক নির্যাতনের চেষ্টা চালিয়ে আসে। একপর্যায়ে সুযোগ বুঝে তাকে ঘরের ভেতর জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে নিয়মিতভাবেই শারীরিক শোষণ চালাতে থাকে। সামাজিক লজ্জা, কাজ হারানোর ভয় এবং প্রতিনিয়ত হুমকির কারণে তিনি বিষয়টি কাউকে জানাতে পারেননি।

কিছুদিন পর শারীরিক পরিবর্তন অনুভব করলে জেসমিন তার ভাবিদের সহযোগিতায় টেস্ট করে জানতে পারেন তিনি প্রায় দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা। বিষয়টি রাসেল ও তার মাকে জানানোর পর তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং তাকে গর্ভপাত করানোর জন্য হুমকি দিতে থাকে। জেসমিন অপারগতা প্রকাশ করলে রাসেল ও পরিবারের অন্য সদস্যরা জোরপূর্বক তাকে ঔষধ খাইয়ে দেয়। এতে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং রক্তক্ষরণ শুরু হয়।

১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে প্রতিবেশী ভাবির সহায়তায় তাকে নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে সেখানে ওয়াসের মাধ্যমে তার গর্ভের ভ্রূণ ফেলে দেওয়া হয়।

ভুক্তভোগী জানান, বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি মেম্বার শামীম, চৌকিদার ইমদাদুল ও মুরুব্বি ইদ্রিস পালের কাছে বিচার চাইলেও কোনো সুরাহা হয়নি। উল্টো অভিযুক্তদের পক্ষ থেকে তাকে নিয়মিত হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ, মানসিকভাবে ভেঙে পড়া এবং খাদ্যসংকটে দিন কাটাচ্ছেন।

জেসমিন বলেন,
“আমি খুব কষ্টে দিন পার করছি। রাসেল ও তার পরিবার আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। প্রতিবেশীরা নানা কথা শুনাচ্ছে। আমার ঘরে খাবারও নেই। বিচার চাইতে গেলে তারা ভয় দেখায়। আমার আট বছরের মেয়েটার কথা ভেবে বাঁচছি। আমি প্রশাসনের কাছে ন্যায়বিচার চাই।”

তিনি আরও জানান, এতোদিন ভয় ও অসুস্থতার কারণে থানায় মামলা করতে পারেননি। এখন তিনি মিডিয়ার মাধ্যমে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন যাতে তিনি ন্যায়বিচার পান এবং ভবিষ্যতে অন্য কোনো নারী যেনো এমন নির্যাতনের শিকার না হন।

এ ঘটনায় প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ ও দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীর পরিবার ও স্থানীয়রা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ
এক ক্লিকে বিভাগের খবর