দ্রোহের প্রতীক শহীদ ওসমান হাদি: রাজকীয় বিদায়ে
আলামিন মাগুরা প্রতিনিধি: ন্যায়, ইনসাফ ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপসহীন প্রতিবাদের এক বলিষ্ঠ কণ্ঠ—শহীদ ওসমান হাদি। ধূমকেতুর মতো আবির্ভাব ঘটে জনপদজুড়ে প্রতিবাদের আগুন ছড়িয়ে দেওয়া এই তরুণ নেতার জীবনাবসান ঘটেছে গুলিবিদ্ধ হয়ে। পরবর্তী জুমার রাতেই তিনি শাহাদাতের মর্যাদায় ভূষিত হন—যা অনেকের চোখে এক অসামান্য তাকদির।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জুমার নামাজের পরপরই সংঘটিত এক সহিংস ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন ওসমান হাদি। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি পরের জুমার রাতে ইন্তেকাল করেন। তার শাহাদাতে গোটা এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া। লাখো মানুষ অশ্রুসিক্ত দোয়ায় স্মরণ করছেন তাকে।
স্থানীয়রা জানান, ওসমান হাদি ছিলেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রতীক। ন্যায় ও সত্যের পক্ষে আপসহীন অবস্থান নিয়ে তিনি দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের পক্ষে সরব ছিলেন। আধিপত্যবাদ ও অবিচারের বিরুদ্ধে তার স্পষ্ট অবস্থান তাকে করে তুলেছিল তরুণ সমাজের অনুপ্রেরণা।
ধর্মপ্রাণ মানুষের বিশ্বাস অনুযায়ী, শহীদের রক্ত কখনো বৃথা যায় না। ওসমান হাদির শাহাদাতকে অনেকেই পরম সৌভাগ্য হিসেবে দেখছেন—যা কেবল নির্বাচিত বান্দারাই লাভ করেন বলে মত তাদের।
শোকাহত সহযোদ্ধারা বলেন, “ওসমান হাদি শুধু একজন ব্যক্তি নন, তিনি একটি চেতনার নাম। তিনি বেঁচে থাকবেন মুক্তিকামী মানুষের ভালোবাসায়, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দেবেন সাহস ও প্রতিবাদের অনুপ্রেরণা।”
ওসমান হাদির মতো দেশপ্রেমিক, ধর্মীয় মূল্যবোধে দৃঢ় ও আধিপত্যবাদবিরোধী তরুণরাই আগামীর বাংলাদেশ গড়বে—এমন প্রত্যাশাই ব্যক্ত করেছেন এই বাংলাদেশের মানুষ।








