ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় আটকে আছে ঈশ্বরগঞ্জ-আঠারবাড়ী সড়কের কাজ, সংস্কার দাবিতে মানববন্ধন
আশরাফুল ইসলাম, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা নিরসনের মাধ্যমে তিন কিলোমিটার বেহাল সড়ক দ্রুত সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। বুধবার (৮ অক্টোবর) সকালে ঈশ্বরগঞ্জ পৌর শহরের ঈশ্বরগঞ্জ-আঠারবাড়ী সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে দলমত নির্বিশেষে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। এসময় বক্তারা সাত দিনের মধ্যে সড়কের সংস্কার কাজ শুরু না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।
সাবেক সংসদ সদস্য শাহ্ নুরুল কবির শাহিন বলেন, “ঈশ্বরগঞ্জ চৌরাস্তা মোড় থেকে নয়শিমুল পর্যন্ত সড়কের বেহাল দশায় হাজারো মানুষ ভোগান্তিতে রয়েছেন। শিক্ষার্থী, রোগী ও সাধারণ জনগণ প্রতিদিন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। যদি সাত দিনের মধ্যে সংস্কার কাজ শুরু না হয়, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।”
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, আঠারবাড়ী থেকে ঈশ্বরগঞ্জ পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার সড়কের কাজ শুরু হয় ২০২০ সালের মার্চে। ৩০ জুনের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও পৌর এলাকার আড়াই কিলোমিটার অংশের ভূমি অধিগ্রহণ না হওয়ায় কাজ বন্ধ রয়েছে।
পৌর এলাকায় সড়কের দুই পাশে থাকা বাড়ি ও দোকানের মালিকরা অধিগ্রহণের টাকা না পেলে জমি ছাড়তে নারাজ। এমনকি সরকারি প্রতিষ্ঠানের জমিও অধিগ্রহণ জটিলতায় রয়েছে। ফলে পাঁচ বছরেও শেষ হয়নি সড়কের কাজ।
সড়ক বন্ধ থাকায় ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাতায়াত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসা-যাওয়া ও যান চলাচলে মারাত্মক দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকাবাসীর ব্যানারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সাবেক এমপি শাহ্ নুরুল কবির শাহিন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আমিরুল ইসলাম ভূঁইয়া মনি, যুগ্ম আহ্বায়ক আতিকুর রাজ্জাক ভূঁইয়া হীরা, আব্দুল্লাহ আল-মামুন খোকন, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক সায়েদুল হক, সদস্য সচিব নূরে আলম জিকু, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঈশ্বরগঞ্জ শাখার সভাপতি মুফতি হাবিবুল্লাহসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আমিরুল ইসলাম ভূঁইয়া মনি বলেন, “জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ যাতায়াত করে। তাই প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ, দ্রুত সংস্কার কাজ শুরু করা হোক।”
এ বিষয়ে সওজের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আব্দুস ছালাম জানান, “৮ ধারা নোটিশ প্রস্তুতের কাজ শেষ হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষর পেলেই আগামী সপ্তাহেই জমির মালিকদের নোটিশ দেওয়া হবে। এরপর কাগজপত্র জমা দিলে দ্রুত অর্থ উত্তোলনের সুযোগ পাবেন মালিকরা। টাকা উত্তোলনের পরপরই সড়কের কাজ শুরু করা হবে।”








