হরিনাকুন্ডুতে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস-২০২৫ পালন
হরিনাকুন্ডু সংবাদদাতা: বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষ্যে হাত ধোয়ার প্রদর্শনী আয়োজন করেন ওয়েব ফাউন্ডেশন,তৃষ্ণা-১ মহিলা সমিতি তাহের হুদা,হরিণাকুন্ডু উপজেলা,০১৪ হরিণাকুন্ডু ঝিনাইদহ।
আজ ১৫ অক্টোবর রোজ বুধবার সকাল ১০টাই ইউনি ম্যানেজার বিশ্বজিৎ হালদার এর সভাপতিত্বে ও সরকারি ইউনিট ম্যানেজার মোঃ মানিক হোসেনের সঞ্চালনায় উক্ত দিবসের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,
বি এম তারিক উজ জামান নির্বাহী অফিসার হরিণাকুন্ডু উপজেলা,
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,
আব্দুল্লাহ আল মামুন, সভাপতি মেডিয়া বিভাগ ও দৈনিক সংগ্রাম হরিনাকুন্ডু উপজেলা প্রতিনিধি
ইঞ্জিনিয়ার আবুল কালাম আজাদ
সঞ্জয় পাল সি ডি ও।
অতিথি বিন্দুরা তাদের মূল্যবান বক্তব্যে বলেন, সবসময় হাত পরিষ্কার রাখাটায় আসল বিষয় এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এই দিবসটি প্রথম পালিত হয় ২০০৮ সালের ১৫ অক্টোবর, ইউনিসেফ, পিএন্ডজি ও গ্লোবাল হ্যান্ডওয়াশিং পার্টনারশিপের যৌথ উদ্যোগে দিবসটি পালন করা হয়। এই দিবসটি পালনের উপকারিতা সম্পর্কে অতিথি মহাদয়েরা আলোচনা পেশ করেন।
বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস বা বিশ্ব হাতধোয়া দিবস বিশ্ব ব্যাপী জনসচেতনতা তৈরী ও উদ্বুদ্ধ করনের জন্য চালানো একটি প্রচারণামূলক দিবস। প্রতি বছর ১৫ অক্টোবর তারিখে বিশ্ব ব্যাপী এটি পালিত হয়ে থাকে। জনসাধারণের মধ্যে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার মাধ্যমে রোগের বিস্তার রোধ করার বিষয়ে সচেতনতা তৈরী করার উদ্দেশ্যে এই দিবসটি পালিত হয়ে থাকে।
ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া করোনাভাইরাসের বিস্তৃতি রোধে প্রধান সহায়ক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। শুধু করোনাভাইরাসের বিস্তৃতি রোধই নয়; জ্বর, ডায়রিয়ার মতো রোগের প্রাদুর্ভাব রোধেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাত ধোয়া কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। অবচেতনভাবে আমরা হাত দিয়ে ক্রমাগত চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করে থাকি। হাত অপরিষ্কার থাকলে এমন স্পর্শের মাধ্যমে দেহের ভেতর জীবাণু প্রবেশ করতে পারে। তাই কিছু সময় পরপর সাবান-পানিতে হাত ধুয়ে নিলে করোনাভাইরাসে সংক্রমণের আশঙ্কাসহ নানা ধরনের রোগব্যাধি অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব। করোনাভাইরাস আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাত ধোয়ার প্রয়োজনীয়তা দেখিয়ে যাচ্ছে। দৈনন্দিন জীবনে এ চর্চা অন্তর্ভুক্তির সময় এসেছে।
হাত ধোয়ার নিয়মাবলিঃ
পাঁচটি প্রধান ধাপে হাত ধোয়ার কথা বলা হয়। প্রথমে পরিষ্কার পানিতে হাত ভিজিয়ে নিতে হবে। তারপর হাতের পিঠ, তালু ও আঙুলে পরিমাণমতো সাবান ঘষে নিতে হবে। তারপর অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ঘষে নিতে হবে। হাতে কোনো আংটি বা অন্যান্য গয়না থাকলে তার ওপর-নিচ ভালো করে ঘষে নিতে হবে। দুই হাত একে অপরের সঙ্গে ভালো করে ঘষতে হবে এবং এরপর পরিষ্কার পানিতে হাত ধুয়ে নিতে হবে। হাত ধোয়া শেষ হলে তা শুকনা কাপড় বা টিস্যু দিয়ে ভালো করে মুছে নিতে হবে।বিশ্ব হাতধোয়া দিবসের মূল লক্ষ্য হলো,সকল সমাজের সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার একটি সাধারণ সংস্কৃতির সমর্থন ও প্রচলন করা,প্রতিটি দেশে হাত ধোয়ার বিষয়ের নজর দেয়া,সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার উপকারিতা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। সকল অতিথি বৃন্দ জনসচেতন মূলক এমন আয়োজনকারী প্রতিষ্ঠান ওয়েভ ফাউন্ডেশনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠান শেষে সভাপতি সংক্ষিপ্ত আলোচনায় তাদের প্রতিষ্ঠানে সহজ কিস্তিতে মাত্র ১৬ হাজার২০০ টাকায় পায়খানা তৈরির প্রতিশ্রুতিপ্রদান করেন। এ সময় উক্ত প্রতিষ্ঠান সদস্যবৃন্দ ওই স্থানীয় মা বোনেরা উপস্থিত ছিলেন।








