শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:১৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
গৌরনদীতে রিপারিং রাস্তার মাটি কাটা কেন্দ্র করে হামলা, মডেল থানায় এজাহার দায়ের। **নেছারাবাদে বিএনপির দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় সুটিয়াকাঠিতে নেতাকর্মীদের ঢল** গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৪ শিক্ষার্থী পবিত্র কোরআনের আলোকে পরিত্যাক্ত পাথর থেকে সোনা রুপাসহ মুল্যবান ধাতু আহরনে গাজন পদ্ধতির উদ্ভাবন আহছান উল্লাহর থানচিতে নতুন বাস টার্মিনাল চালু যাত্রীসেবার নতুন সম্ভাবনা। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা প্রশাসনের অভিযানে মাদক সেবনে অভিযুক্ত ২ জনের কারাদণ্ড, ১ জনের বিরুদ্ধে মামলা নেছারাবাদে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল তাড়াশে প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগের উদ্বোধন নোয়াখালী-৪ আসনে ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী আব্দুর জাহেরের উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত সন্দ্বীপের নানান সমস্যা নিয়ে উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খানের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

কমলনগরের চর কাদিরায় ভুলুয়া নদী দখল–রাতের আঁধারে মাছ বিক্রির অভিযোগ, স্থানীয়দের ক্ষোভ চরমে

প্রতিবেদকের নাম / ৭০ বার দেখা হয়েছে
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর, ২০২৫

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর উপজেলার ৮নং চর কাদিরা ইউনিয়নের ৪ ও ৫নং ওয়ার্ডের সীমান্তবর্তী ‘ভাইরাল ব্রিজ’ খ্যাত এলাকার ভুলুয়া নদীতে পানি কমে যাওয়ার সুযোগে নদীর বিভিন্ন স্থানে বাঁধ নির্মাণ করে দখল ও রাতের আঁধারে মাছ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই ভুলুয়া নদীর বিভিন্ন অংশে বাঁধ দিয়ে পানি আটকিয়ে মাছ ধরা ও বিক্রির মাধ্যমে ব্যক্তিগত লাভবান হচ্ছে স্থানীয় কয়েকজন নেতা। সরকারি এই নদী দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষ আনন্দের সাথে মিলেমিশে মাছ ধরার স্থান হলেও বর্তমানে তা দখলে নিয়ে বাণিজ্যে পরিণত করা হয়েছে।


স্থানীয়রা জানান, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও সেক্রেটারীর নির্দেশে কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি নদীতে কৌশলে বাঁধ তুলে মাছ ধরে রাতের অন্ধকারে বিক্রি করে দিচ্ছে। এতে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত হচ্ছে এবং সাধারণ মানুষের অধিকার ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।

ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. হারুনুর রশীদ জানান,
“গতকাল (১৮/১১/২৫ইং) মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মাধ্যমে খবর পেয়ে আমি সঙ্গে সঙ্গে চৌকিদার পাঠিয়ে মাছ ধরা বন্ধ করাই। কিন্তু পরে রাতের আঁধারে খোরশেদ ও রুবেল নামে দুই ব্যক্তি ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও সেক্রেটারীর নামের কথা উল্লেখ করে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে মাছগুলো হারুনের কাছ থেকে কিনে নিয়ে যায় বলে খবর পাই।”

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলেন,
“নদী বা খালের মাছ কেউ ব্যক্তিগতভাবে দখল করে বিক্রি করার আইনগত অধিকার নেই। বিষয়টি আমি জেনেছি এবং দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।”

ওয়ার্ড বিএনপির সেক্রেটারী হারুনের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

স্থানীয়রা জানান, নদী দখল ও অবৈধ মাছ বিক্রির সাথে জড়িতদের দ্রুত আইনগত বিচারের আওতায় আনা না হলে নদীর পরিবেশ, প্রবাহ এবং সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক অধিকার চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ
এক ক্লিকে বিভাগের খবর