তাড়াশ পৌর শহরে অবৈধ মাটি পরিবহনে রাস্তার বেহাল দশা, জনদুর্ভোগ চরমে
নিজেস্ব প্রতিবেদকক দৈনিক আমাদের স্বদেশ : সিরাজগঞ্জ জেলোর তাড়াশ পৌরশহরের বিভিন্ন পাকা রাস্তায় অবৈধ ট্রাক্টরে ধারণক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত মাটি বহন করায় তা সড়কে পড়তে থাকে। এতে সামান্য বৃষ্টি হলেই পৌরশহরের বিভিন্ন সড়ক কাদায় পরিণত হয়। দেখে বোঝার উপায় থাকে না সেগুলো পাকা না কাঁচা সড়ক। বেশিরভাগ সড়ক দিয়ে অতিরিক্ত মাটিবোঝাই ট্রাক-ট্রাক্টর চলাচল করে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বছরের পর বছর এসব যান চলাচল করায় যানগুলো থেকে মাটি সড়কে পড়ে। এরপর বৃষ্টি হলেই তা কাদায় পরিণত হয়। শুক্রবার ভোর থেকে বৃষ্টির পর উপজেলার বিভিন্ন সড়ক যেন থকথকে কাদার লেপ্টে যায়। এতে সড়ক যানবাহন ও পথচারী চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এই অকেজো সড়ক নিয়ে এলাকাবাসী অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, পৌর শহরের কাউরাইল, সোলাপাড়া, মঙ্গলবাড়িয়া, খুটিগাছা রাস্তাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পাকা সড়ক এখন কাদার সড়কে পরিণত হয়েছে। পথচারীরা কাদামাটি গায়ে লাগার ভয়ে চলাচল করতে পারছে না। বিশেষ করে দুর্ভোগে পড়েছেন মোটরসাইকেল চালকরা।
সোলাপাড়া থেকে কাউরাইল আসা মোটরসাইকেল আরোহী রাজু আহমেদ জানান, ‘আমি প্রতিদিন মেয়েকে তাড়াশ পৌর শহরে একটি কোচিং সেন্টারে পড়াতে নিয়ে আসি। কিন্তু এই রাস্তায় অবৈধ ট্রাক-ট্রাক্টর চলাচলের কারণে কী যে কষ্ট হয়েছে তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। এ ছাড়া অসময়ের বৃষ্টির কারণে দেখে বোঝার উপায় নেই এই সড়কগুলো পাকা না কাঁচা। বৃষ্টির কারণে মোটরসাইকেল নিয়ে কয়েকবার কাদায় পড়ে গেছি।’
মোটরসাইকেল আরোহী আব্দুল মমিন জানান, ইটভাটা ও জমি কেটে পুকুর খননের পর ট্রাক্টরে করে মাটি বহনের সময় রাস্তায় পড়ে যায়। সেই মাটি রোদে শুকিয়ে ধুলো হয় আর বৃষ্টি হলে তা কাদায় পরিণত হয়। যা দেখে বোঝার উপায় থাকে না এটা কার্পেটিং করা রাস্তা। এতে সড়কগুলোতে চলাচল করতে পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ।
পৌর শহরের স্থানীয়রা জানান, জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কগুলোতে যদি এখনই কোনো ব্যবস্থা নেওয়া না যায়, তাহলে কিছুদিনের মধ্যেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়বে। বিশেষ করে আগামী বর্ষা মৌসুমে অবস্থা আরো খারাপ হবে। এজন্য এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ বিষয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান তারা।








