শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৩৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
গৌরনদীতে রিপারিং রাস্তার মাটি কাটা কেন্দ্র করে হামলা, মডেল থানায় এজাহার দায়ের। **নেছারাবাদে বিএনপির দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় সুটিয়াকাঠিতে নেতাকর্মীদের ঢল** গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৪ শিক্ষার্থী পবিত্র কোরআনের আলোকে পরিত্যাক্ত পাথর থেকে সোনা রুপাসহ মুল্যবান ধাতু আহরনে গাজন পদ্ধতির উদ্ভাবন আহছান উল্লাহর থানচিতে নতুন বাস টার্মিনাল চালু যাত্রীসেবার নতুন সম্ভাবনা। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা প্রশাসনের অভিযানে মাদক সেবনে অভিযুক্ত ২ জনের কারাদণ্ড, ১ জনের বিরুদ্ধে মামলা নেছারাবাদে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল তাড়াশে প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগের উদ্বোধন নোয়াখালী-৪ আসনে ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী আব্দুর জাহেরের উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত সন্দ্বীপের নানান সমস্যা নিয়ে উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খানের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

সিরাজগঞ্জে ভুল পরিকল্পনা ও অব্যবস্থাপনার প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তিন কোটি টাকার প্রকল্প ব্যর্থ

প্রতিবেদকের নাম / ৩০ বার দেখা হয়েছে
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৫

রেজুউল করিম ঝন্টু সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:সিরাজগঞ্জে ভুল পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনার অভাবে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রায় তিন কোটি টাকার প্রকল্প এখন কার্যত অচল। বর্তমানে পরিত্যক্ত অবস্থায় প‌ড়ে আছে আধুনিক সরঞ্জাম ও সৌরবিদ্যুৎ সুবিধাসহ নির্মিত দুটি মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিপণন কেন্দ্র। রাত হলেই এসব ভবনে বসে মাদকসেবীদের আড্ডা, সেই সা‌থে চুরি হচ্ছে মূল্যবান জিনিসপত্র।

বৃহস্প‌তিবার (৩০ অক্টোবর) সরজমিনে জানা যায়, ২০২৩ সালে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি) এর আওতায় সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার স্টেডিয়াম এলাকা ও বেলকুচির আজুগাড়ায় প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিপণন কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়। প্রতিটি রুমে বেসিন, ট্যাপ, বিদ্যুৎ ও পানির ব্যবস্থা, এমনকি সৌরবিদ্যুৎ সংযোগও রয়েছে। তবে কেন্দ্রগুলো চালু না হওয়ায় নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান সরঞ্জাম।
স্থানীয়রা জানান, দোকানঘরগুলো এখন অব্যবহৃত পড়ে আছে। রাতে সেখানে ব‌সে  মাদকসেবীদের আড্ডা। কেউ এসব দেখাশোনা করে না। অচল এই কেন্দ্রগুলো দ্রুত ব্যবহার উপযোগী করে তুলতে না পারলে কোটি কোটি টাকার সরকারি সম্পদ একেবারেই নষ্ট হয়ে যাবে।
জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কোনো মতামত নেওয়া হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, প্রকল্প শুরুর তিন মাস পর আমরা জানতে পারি, সিরাজগঞ্জে এই কেন্দ্রগুলো নির্মাণ করা শুরু হয়েছে।
পৌরসভার বাজার ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা জুলফিকার আলী জানান, এই বাজারের কোনো বাস্তব চাহিদা নেই। ৪৮টি দোকানের মধ্যে মাত্র ৮টি বরাদ্দ দেওয়া গেছে। ভুল জায়গায় স্থাপনের কারণেই এটি অকেজো হয়ে পড়েছে।
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আনারুল হক বলেন, এ প্রকল্প বিষয়ে আমাদের কিছুই জানানো হয়নি। ঢাকা অফিস থেকেই সরাসরি কাজ করা হয়েছে এবং পরবর্তীতে পৌরসভায় হস্তান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে এর অবস্থা কী, তা আমাদের জানা নেই।
প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের ডিপিডি হারুন রশিদ বলেন, এটি একটি প্যাকেজ প্রকল্প। প্রতিটি কেন্দ্রে দেড় থেকে দুই কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। তবে প্রকল্পের কার্যকারিতা বা পরিকল্পনা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর না দি‌য়ে তিনি ফোন কেটে দেন


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ
এক ক্লিকে বিভাগের খবর