কুষ্টিয়া-২ আসনে অধ্যাপক শহীদুল ইসলামকে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণার দাবিতে মহাসড়কে মহিলাদের মানববন্ধন
মোহন আলী, স্টাফ রিপোর্টার কুষ্টিয়া
কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনে বিএনপি ঘোষিত সম্ভাব্য প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে তৃণমূল নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণ টানা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এর অংশ হিসেবে সোমবার বিকেলে কুষ্টিয়া ত্রিমোহনী থেকে বহলবাড়ীয়া সেন্টার পর্যন্ত কুষ্টিয়া–ঈশ্বরদী মহাসড়কের প্রায় ১২ কিলোমিটারজুড়ে অন্তত ১০টি স্থানে ব্যাপক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে মিরপুর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন, একটি পৌরসভা ও আশপাশ এলাকার হাজারো মহিলা ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে অংশ নেন।

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক শহীদুল ইসলামকে কুষ্টিয়া-২ আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণার জোর দাবি জানান। তাঁরা অভিযোগ করেন—দল ঘোষিত সম্ভাব্য প্রার্থী রাগীব রউফ চৌধুরীর সঙ্গে তৃণমূলের কোনো সম্পৃক্ততা নেই, তিনি এলাকায় জনবিচ্ছিন্ন একজন নেতা এবং বিগত আন্দোলন-সংগ্রামে তাঁকে মাঠে দেখা যায়নি। এই প্রার্থী নিয়ে নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয় অসম্ভব বলে দাবি তাদের।
ভেড়ামারা উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক তৌহিদুল ইসলাম মালিথা বলেন, “তৃণমূলের নেতাকর্মীর সঙ্গে ঘোষিত প্রার্থীর কোনো যোগাযোগ নেই। তিনি দক্ষ রাজনৈতিক নেতা নন। তাঁকে দিয়ে এ আসনে বিএনপির বিজয় আসবে না।”
মিরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আশরাফুজ্জামান শাহিন বলেন, “তৃণমূলের একটাই দাবি—ধানের শীষকে বিজয়ী করতে হলে অধ্যাপক শহীদুল ইসলামকেই মনোনয়ন দিতে হবে। বর্তমান প্রার্থী থাকলে আসনটি জামায়াতের দখলে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।”
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার টিপু সুলতান বলেন, “ঘোষিত প্রার্থীকে আমরা বিগত ১৬ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামে মাঠে পাইনি। কিন্তু অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম দীর্ঘদিন মাঠে ছিলেন, জেল-জুলুম সহ্য করেছেন। তাঁকেই মনোনয়ন দিতে হবে।”
উপজেলা মহিলা দলের আহ্বায়ক সাজেদা খাতুন বলেন, “ঘোষিত প্রার্থী স্থানীয় মানুষ ও তৃণমূলের প্রত্যাশার প্রতিফলন নয়। অধ্যাপক শহীদুল ইসলামই উন্নয়নের রূপকার এবং জনগণের নেতা। তাঁকে মনোনয়ন দিতে হবে।”
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া মহিলারা জানান, শহীদুল ইসলাম এমপি থাকাকালে এলাকায় উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন করেছেন। তিনি মানুষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখেন এবং সব আন্দোলনে মাঠে ছিলেন। অন্যদিকে ঘোষিত সম্ভাব্য প্রার্থী ঢাকাকেন্দ্রিক এবং এলাকায় তাঁর রাজনৈতিক উপস্থিতি নেই বলেও অভিযোগ করেন তাঁরা।
পৌর বিএনপির সদস্য আব্দুর রশিদ বলেন, “দলীয় প্রার্থী ঘোষণায় এলাকার নেতাকর্মী ও জনগণের হতাশা তৈরি হয়েছে। একটাই দাবি—শহীদুল ইসলামকে পুনরায় প্রার্থী ঘোষণা করতে হবে। তা না হলে বিএনপিকে বিজয়ী করা কঠিন হয়ে পড়বে।”
মানববন্ধনে দুই উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজারো মহিলা অংশ নেন। নেতারা ঘোষণা দেন—মনোনয়ন পরিবর্তন না হলে সামনে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।








