হরিনাকুন্ডুকে এগিয়ে নিতে সকলের সহযোগিতা চাইলেন নবাগতা উপজেলা নির্বাহী অফিসার
আব্দুল্লাহ আল মামুন হরিনাকুন্ডু সংবাদদাতা,
ঝিনাইদহ জেলার হরিনাকুন্ডু উপজেলার জনসাধারণ নির্বাহী অফিসারের পোস্টিং বিড়ম্বনা থেকে অবশেষে রক্ষা পেলেন। পূর্বের পোস্টিংকৃত উপজেলা নির্বাহী অফিসারের প্রতি উপজেলা জনসাধারণের অনাস্তার কারণে অবশেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে যোগদান করলেন ৩৬তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের চৌকস কর্মকর্তা জনাব মোহাম্মদ দিদারুল আলম মহোদয়। তাঁর এই সদ্য পদায়ন উপলক্ষে উপজেলাজুড়ে বইছে আনন্দের বন্যা, জনগণ তাঁকে একজন জনবান্ধব প্রশাসক হিসেবে বরণ করে নিতে প্রস্তুুত। অপেক্ষার বিড়ম্বনা পেরিয়ে হরিণাকুণ্ডু উপজেলাবাসী নতুন কর্মকর্তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছে।উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ দিদারুল আলমের কর্মজীবন শুরু থেকেই ছিল বর্ণাঢ্য ও নিষ্ঠাবান। প্রশাসন ক্যাডারের একজন মেধাবী কর্মকর্তা হিসেবে তাঁর পূর্ব অভিজ্ঞতা অত্যন্ত মূল্যবান। তিনি ইতিপূর্বে কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ে সিনিয়র সহকারী সচিব পদমর্যাদায় অত্যন্ত সংবেদনশীল ও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দক্ষতার সাথে পালন করেছেন। এই অভিজ্ঞতা নিঃসন্দেহে তাঁকে হরিণাকুণ্ডুর প্রশাসনিক কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে।
উপজেলাবাসীর বিশ্বাস, জনাব দিদারুল আলম মহোদয় তাঁর কর্মজীবনে সততা, নাই, নিষ্ঠা, দক্ষতা ও জনসেবায় যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, হরিণাকুণ্ডুতেও তা অক্ষুণ্ণ থাকবে। স্থানীয় জনসাধারণ , সাংবাদিক বিন্দু, ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা আশাবাদী যে, তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্ব ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি হরিণাকুণ্ডু উপজেলাকে একটি মডেল জনবান্ধব প্রশাসনে পরিণত করবে।
হরিণাকুণ্ডু উপজেলাবাসি জনাব মোহাম্মদ দিদারুল আলম মহোদয়ের কর্মজীবনের এই নতুন অধ্যায়ে তাঁর সর্বাঙ্গীণ সাফল্য এবং জনকল্যাণমূলক কাজে নতুন মাইলফলক স্থাপনের জন্য শুভকামনা জানান। গত শুক্রবার উপজেলা মসজিদে জুম্মার নামাজের খুতবা শুরুর পূর্বক্ষণে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ দিদারুল আলম উপস্থিত সকল মুসল্লিদের প্রতি প্রাণঢালা শুভেচ্ছা জানান এবং সেই সঙ্গে তিনি বলেন তার অফিস হরিণাকুন্ডুর সকল শ্রেণীর মানুষের জন্য উন্মুক্ত, যে কোনো সময় তারা তাদের সমস্যা তুলে ধরতে তার অফিসে আসতে পারবেন। তিনি আরো বলেন তার কমিটমেন্ট সততা এবং নিষ্ঠার সাথে উপজেলা বাঁশির সেবা করা এবং সেই সাথে সকলের কাছে সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন । উপজেলা মসজিদের মুসল্লীগণ তার সাথে কুশল বিনিময় করেন এবং তার জন্য প্রাণ খুলে দোয়া করেন।








