নেছারাবাদে পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মিথ্যা হয়রানি ও ৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ
সোহেল রায়হান, স্টাফ রিপোর্টার ঃ নেছারাবাদে পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা ছাড়া গ্রেফতার হয়রানি ও ৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তির বাসায় তদন্তে গিয়ে মামলা হওয়ার কথা বলে গ্রেফতার করার মিথ্যা হুমকি দেয় অন্যথায় ৫ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করে। সরেজমিনে জানা যায়, পারিবারিক কলহের জেরে এক পক্ষের করা থানায় অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে আসে নেছারাবাদ থানার এসআই ওমর সানি। তিনি তদন্তে এসে সরাসরি ঘরে ঢুকে যায় এবং অভিযুক্ত ব্যক্তি আব্দুল খালেককে বলে তার নামে থানায় মামলা হয়েছে, তাই তাকে গ্রেফতার করা হবে। তখন খালেকের স্ত্রী ও প্রতিবন্ধি সন্তান বাঁধা প্রদান করলে এবং আকুতি মিনুতি করে আটক না করতে অনুরোধ করলে এসআই ওমর সানি গ্রেফতার না করার শর্তে অভিযুক্ত ব্যক্তি আব্দুল খালেকের কাছে তার স্ত্রী সন্তান ও পার্শ্ববর্তী আত্মীয় স্বাক্ষীগনের সামনে ৫ হাজার টাকা দাবি করে। পরবর্তীতে খালেক পাশের ঘরের মহিলার (চাচী) কাছ থেকে ৫০০ টাকা ধার এনে পুলিশকে দেয়। সেটা নিয়ে পুলিশ সদস্য ওমর সানি নির্দেশ দিয়ে যায় ঐ দিন সন্ধ্যায় যেনো বাকি সাড়ে ৪ হাজার টাকা নিয়ে থানায় হাজির হয়।

অভিযুক্ত আব্দুল খালেক আমাদের স্বদেশকে বলেন, আমার মা এবং ভাই বোনের সাথে পারিবারিক ভাবে বেশ কিছুদিন যাবৎ একটা পুরোনো ঘর এবং টাকা পয়সার লেনদেন নিয়ে বিরোধ চলছিলো এবং আমাকে ঠকানো হচ্ছিলো। এক পর্যায়ে আমাদের মাঝে ঝগড়া বিবাদ হয় এবং আমার নামে থানায় তারা একটা লিখিত অভিযোগ দেয়। কিন্তু আমার নামে কোনো মামলা হয়নি। তবুও এসআই ওমর সানি আমার বাসায় এসে হুমকি দিয়ে বলে আমার নামে নাকি থানায় মামলা হয়েছে, এজন্য আমাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যাবে। নইলে ৫ হাজার টাকা তাকে দিতে হবে। পরবর্তীতে আমি ধার করে তাকে ৫০০ টাকা দেই এবং বাকি টাকা থানায় গিয়ে দিয়ে আসার কথা থাকলেও আমি তা দেইনি। পরবর্তীতে আব্দুল খালেক ও সাক্ষীগনের বরাতে জানা যায়, বর্তমানে বিভিন্ন সময় অপর পক্ষ অর্থাৎ বাদী পক্ষরা যেমন- কাওসার, মাহাবুব, জেসমিন, শরীফা, হনুফা, বিভিন্ন প্রকার হুমকি ধমকি প্রদান করে এবং মারধর করার হুমকি দেয়। আব্দুল খালেক সহ বাদী পক্ষের সকলের পিতা মৃত আব্দুল ছত্তার, অভিযোগকারী এবং অভিযুক্ত ভুক্তভোগী ও সাক্ষীগন সকলেই নেছারাবাদ উপজেলার সোহাগদল ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
এ বিষয়ে আব্দুল খালেকের স্ত্রী সুমি, প্রতিবেশী প্রত্যক্ষদর্শী রোজিনা এবং তার চাচীর জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে এবং তারাও একই সাক্ষ্য দিয়েছে। অপরদিকে আব্দুল খালেকের সাথে বিবাদকারী তার মা এবং ভাই কাওসার সহ সকলে গণমাধ্যম কর্মীকে এড়িয়ে চলছে। এ বিষয়ে সরাসরি অথবা ফোনে তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
জানা যায়, এসআই ওমর সানি বদলি জনিত কারনে বর্তমানে মঠবাড়িয়া থানায় রয়েছেন। তার কাছে অভিযোগের বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি গ্রেফতারের হুমকি ও টাকা দাবির অভিযোগ অস্বীকার করেন।








