শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদী: এক প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর থেকে জাতির জাগরণ
বাংলাদেশের প্রতিবাদী ইতিহাসে শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদী এক অনন্য নাম। অন্যায়, অবিচার ও দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে যিনি ছিলেন আপসহীন, নির্ভীক এবং স্পষ্টভাষী। তাঁর কণ্ঠস্বর শুধু ব্যক্তিগত প্রতিবাদে সীমাবদ্ধ ছিল না; বরং তা ধীরে ধীরে রূপ নেয় সারাদেশব্যাপী এক গণপ্রতিরোধের প্রেরণায়। তাঁর শাহাদাত আজ গোটা বাংলাদেশকে নাড়া দিয়েছে।
শহীদ ওসমান বিন হাদীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় শুরু হয়েছে বিক্ষোভ, প্রতিবাদ সমাবেশ ও দোয়া মাহফিল। শিক্ষার্থী, শ্রমজীবী মানুষ, পেশাজীবী ও সাধারণ নাগরিকরা রাজপথে নেমে তাঁর হত্যার বিচার এবং দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তাঁর নাম হয়ে উঠেছে প্রতিবাদের প্রতীক।
প্রতিবাদকারীরা বলছেন, ওসমান শরিফ বিন হাদী শুধু একজন ব্যক্তি নন; তিনি ছিলেন একটি চেতনা। অন্যায়ের সঙ্গে আপস না করার শিক্ষা তিনি দিয়ে গেছেন নিজের জীবন দিয়ে। তাঁর কণ্ঠস্বর থামিয়ে দেওয়া হলেও তাঁর আদর্শ থামানো যাবে না।
দেশের বিভিন্ন মসজিদে তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে। একই সঙ্গে নাগরিক সমাজ ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে। তারা বলছে, এই বিচার শুধু একজন শহীদের জন্য নয়, বরং ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধের জন্য জরুরি।
বিশ্লেষকদের মতে, শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদীর শাহাদাত দেশের চলমান সামাজিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতায় এক নতুন মোড় সৃষ্টি করেছে। দীর্ঘদিনের চাপা ক্ষোভ ও বঞ্চনার অনুভূতি তাঁর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে প্রকাশ্যে এসেছে, যা এখন গণআন্দোলনের রূপ নিচ্ছে।
আজ শহীদ ওসমান বিন হাদী আর নেই, কিন্তু তাঁর প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর ছড়িয়ে পড়েছে লাখো মানুষের কণ্ঠে। ন্যায়বিচারের দাবি আর গণজাগরণের এই স্রোত কতদূর যাবে; সেই প্রশ্নের উত্তর এখন সময়ই দেবে।








