তাড়াশে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট
নিজেস্ব প্রতিবেদক দৈনিক আমাদের স্বদেশঃ
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। তবে পশুর দাম নিয়ে ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ই অখুশি। ক্রেতারা বলছে পশুর দাম অনেক বেশী অপরদিকে বিক্রেতারা বলছে পশু খাদ্যসহ সব কিছিুর দামই বেশী কিন্তু সে হিসাবে পশুর দাম অনেক কম। এ বছর ভারতীয় গরু না আসায় হাটগুলোতে প্রচুর দেশীয় প্রজাতির পশু উঠেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, তাড়াশ উপজেলায় প্রতি বৃহস্পতিবার নওগাঁ হাট, মঙ্গলবার গুল্টা হাট, সপ্তাহে দুদিন সোমবার ও শুক্রবার তাড়াশ পৌর সদরের হাটে প্রচুর পরিমানে পশু উঠেছে। বড় গরুর তুলনায় ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি দেখা যাচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, হাটে ছোট-মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি। এসব গরু যৌক্তিক দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে বড় গরু আমদানির তুলনায় ক্রেতা কম হওয়ায় প্রত্যাশার চেয়ে কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, হাটে যে পরিমাণ গরু আমদানি হয়েছে, সে তুলনায় ক্রেতা নেই। স্থানীয় লোকজন কোরবানি দেওয়ার জন্য গরু কিনলেও ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দেশের বড় বড় বাজারের ব্যাপারী ও গরু ব্যবসায়ীরা এখনও গরু কেনা শুরু করেন নি। ফলে বিক্রি তুলনামূলক কম। নওগাঁ হাটে সাধারণত কোরবানি ঈদের দুই-তিন সপ্তাহ আগে থেকেই গবাদিপশুর হাটগুলোতে বেচাবিক্রি জমে যায়। সে তুলনায় এবার ঈদের বাকি আর ৮ দিন, কিন্তু পশুর হাটে কেনাবেচা খুব একটা জমেনি।
তাড়াশ পৌরসভার ভাদাশ গ্রামের খামারি আছের জানান, হাটে ৫টি গরু এনেছি। ক্রেতার আনাগোনা ভালো হলেও দাম কম বলছে। যে দাম বলছে তাতে আমাদের চালান উঠবে না, লাভতো দুরে থাক। ঈদের আগ পর্যন্ত যদি দাম এরকমই থাকে, তাহলে লস অনিবার্য। আর বেশী হাটও অবশিষ্ট নাই, ভীষন দুশ্চিন্তায় আছি কোরবানির আগে পশুগুলো বিক্রি করা নিয়ে।
পশু ক্রয় করতে আসা একাধিক ক্রেতা জানান, বাসায় পশু পালনের যায়গা না থাকায় বিক্রেতার কাছেই পশু লালন পালনের দায়িত্ব দিয়ে দেই। আর এজন্যই আমরা তাড়াশের হাট থেকে পশু কিনে থাকি। বিক্রেতারা পশুর দাম অনেক বেশি চাচ্ছে। যেহেতু বেশী হাটও অবশিষ্ট নাই তাই এর মধ্যেই দেখে শুনে পশু কিনতে হবে।
নওগাঁ পশুর হাটের ইজারাদারের প্রতিনিধি রবেল আহমেদ জানান, গতবারের তুলনায় এবার হাটে গরুর আমদানি বেশি।
এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকেই হাটে কোরবানি উপলক্ষে প্রচুর গরুর আমদানি হচ্ছে। তবে আমদানির তুলনায় বেচাবিক্রি কম। ছোট-মাঝারি গরু বেশি বিক্রি হচ্ছে। সে তুলনায় বড় গরু বিক্রি হচ্ছে কম। ঈদের আগে এখানে আর দুই দিন হাট বসবে।এই দুই হাটে ঢাকাসহ দেশের বড় বড় বাজারের বেপারী ও ব্যবসায়ীরা ঢুকলে বড় গরুর চাহিদা বাড়তে পারে।
তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ নূরুল ইসলাম জানান, উপজেলার ছোট-বড় ৬টি হাট রয়েছে। এর মধ্যে স্থায়ী গবাদিপশুর বড় হাট রয়েছে ২ টি। নওগাঁ, গুল্টা। আর ছোট হাট গুলো বারুহাস, খালকুলা, বিনসাড়া ও তাড়াশ। নওগাঁ ও গুল্টা হাটে গবাদিপশু বেশি বিক্রি হয়।








